,

আদালতে ইলিয়াছের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি ১০ কোটি টাকায় অর্থমন্ত্রী ও ২ কোটি টাকায় এমপি জাহিরকে হত্যার চুক্তি

এম এ আই সজিব ॥ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামী হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছের উপর কারাগারে হামলাকারী হত্যা মামলার আসামী ইলিয়াস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। গতকাল ৩ দিনের রিমান্ড শেষে পুলিশ বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমদ খন্দকারের আদালতে হাজির করলে ইলিয়াস এ চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। সন্ধ্যায় এ বিষয় নিয়ে সদর থানায় এক কনফারেন্সের আয়োজন করে পুলিশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার সাজ্জাদ ইবনে রায়হান, ওসি মোঃ নাজিম উদ্দিনসহ তদন্তকারী কর্মকর্তা ছানা উল্লাহ। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৮ জুলাই ঈদের দিন সকাল ১০টায় ইলিয়াস কারাগারের ভেতরে জি কে গউছের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় জেলার শামীম ইকবাল বাদি হয়ে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত কর্তৃক ৩ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে বলে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো: আবু জাহিরের বিষয়ে জি কে গউছের সাথে চুক্তি করেছিল। তবে কি বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল তদন্তের স্বার্থে তা তিনি প্রকাশ করেননি। এছাড়া ওই মামলায় আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করে ইলিয়াস। এদিকে আদালত সুত্রে জানা যায়, ইলিয়াস আরো উল্লেখ করে ১০ কোটি টাকা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও ২ কোটি টাকা এমপি জাহিরকে হত্যার চুক্তি করেছিল এবং তাকে অগ্রীম ১০ লাখ টাকা দেয়াসহ জামিনে বের করার কথা ছিল। এ কারণেই তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সে ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালায়। উল্লেখ্য, শায়েস্থাগঞ্জের সালেহ আহমেদ কনা মিয়ার পুত্র ইলিয়াছ দু’টি হত্যা মামলায় ২০১১ সাল থেকে হবিগঞ্জ কারাগারে আটক আছে। অপরদিকে জি কে গউছ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে আছেন। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারী সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া, তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলাটি বর্তমানে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন এবং বিস্ফোরক মামলাটি তদন্তাধীন আছে।


     এই বিভাগের আরো খবর